![]() |
নভেল করোনা ভাইরাস এড়াতে আমাদের করণীয় কী? আসুন জেনে নিই |
নভেল করোনা ভাইরাস (Novel CoronaVirus) নামটি চিন্তে কষ্ট হবে এমন মানুষ পাওয়া কষ্টের বিষয়।
এই নামটি এখন মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা একটি ল্যাটিন শব্দ। আর এই শব্দের অর্থ হচ্ছে মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত।
এ ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৬ থেকে ৩২ কিলো বেস পেয়ার এর মধ্যে হয়ে থাকে। যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। অর্থাৎ বলতে গেলে করোনা ভাইরাস অন্যান্য ভাইরাস হতে বৃহত্তম এবং ভয়ানক একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে, যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে।
বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাস এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। সম্পূর্ণ বিশ্ব এখন আতঙ্কিত। এই ভাইরাস টি মুলত একটি ছোঁয়াচে বা সংক্রামিত অসুখ। যেটি মুলত হাঁচি, কাশি, থুথু, স্পর্শ ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।
করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যাক্তির লক্ষণ সমূহঃ
সাধারণত করোনা ভাইরাস দ্বারা কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হলে তার কিছু লক্ষণ সমূহ পরিরক্ষিত হয়। নিচের লক্ষণ সমূহ একজন করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত ব্যাক্তির।
- প্রচুর পরিমাণে জ্বর
- অবসাদ
- শুষ্ক কাশি
- শ্বাস কষ্ট
- গলা ব্যাথা
- তবে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।
কোনো ব্যক্তির মধ্যে উপরোক্ত লক্ষণ সমূহ থাকলে বুঝতে হবে সে করোনায় আক্রান্ত। তবে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে এই ভাইরাস থেকে নিজেকে বাচাঁন সম্ভব।
করোনা ভাইরাস থেকে বাচঁতে আমাদের যা যা করণীয়ঃ
এই ভাইরাস টি নতুন হওয়ায় এর কোনো প্রতিষেধক টিকা বা ঔষধ আবিষ্কার হয় নি। তবে আমাদের সচেতনতাই পারে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত করতে। আমাদের সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, দিনে নির্দিষ্ট কিছু সময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
যে যে সময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবেঃ
- হাঁচি কাশির দেওয়ার পর
- অসুস্থদেরকে যত্ন নেওয়ার পর
- টয়লেট ব্যবহারের পর
- খাবার খাওয়ার আগে ও পরে
- হাত ময়লা হলে
- প্রাণী বা প্রাণীজাত বর্জের সংস্পর্শে আসার পর
- বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করার আগে
এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে মানুষকে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। যেমনঃ ময়লা হাত দিয়ে কোনো প্রকার ব্যবহারের দ্রব্য স্পর্শ না করা। হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে এবং ঠান্ডা ও ফ্লু আক্রান্ত মানুষ থেকে দূরে থাকারও পরামর্শ দিয়েছে তারা। আপাতত প্রতিকার হিসেবে এ ভাইরাস বহনকারীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ডাক্তারদের পরামর্শ, বারবার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা ও ঘরের বাইরে গেলে মুখোশ পরা।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে ও জানাতে হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুনঃ
বাংলালিংকঃ সামাজিক দায়বদ্ধয় অপারেটর হিসাবে বাংলালিংক জনস্বার্থে এই নম্বরগুলোতে বাংলালিংক গ্রাহকদের জন্য টোল ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে।
![]() |
নভেল করোনা ভাইরাস এড়াতে আমাদের করণীয় কী? আসুন জেনে নিই |
গ্রামীণফোনঃ করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের “স্বাস্হ্য বাতায়ন” এ গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ফ্রি কল করুন ১৬২৬৩ নম্বরে। এছাড়া যেকোনো প্রকার সমস্যা থাকলে ফ্রি কল করে জানাতে পারেন।
আসুন আমরা করোনা ভাইরাস রোধে সচেতন হয়ঃ
আতঙ্ক নয় সচেতনতার মাধ্যমেই সম্ভব প্রতিরোধ। এসময় সকল জনগণেরই উচিত সচেতন হওয়া। জনগণ সচেতন না হলে এই ভাইরাস টি আরও মহামারী আকার ধারণ করবে। আমি মনে করি আমাদের নিম্ন লিখিত অভ্যাসগুলো ত্যাগ করে সচেতন হতে হবে।
- অকারণে ঘরের বাইরে বের না হওয়া
- চায়ের দোকান কিংবা দল বেধে আড্ডা না দেওয়া
- যতটা সম্ভব জনসমাবেশ এড়িয়ে চোলা
- সবসময় মুখে মাস্ক পোরা
- হাঁচি কাশির দেওয়ার সময় অবশ্যয় রোমাল বা তোয়ালে ব্যবহার করা
- গায়ে জ্বর বা ঠাণ্ডা কাশি দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার এর পরামর্শ নেওয়া
- মানুষ ভর্তি যানবাহন এ না যাওয়া
- বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা
তো এই ছিল আমার আজকের আপডেট পোস্ট করোনা ভাইরাস নিয়ে। নিশ্চয় পোস্টি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। হয় তো আগামিতে আবারও হাজির হতে পারি করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অন্য কোনো পোস্ট নিয়ে ।
আপাতত উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলুন। আর সচেতন হন। নিজেদের বাঁচান ও নিজেদের পরিবারকে বাঁচান। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। খোদা হাফেজ।
ক্রেডিট ছাড়া পোস্ট কপি করা থেকে বিরত থাকুন।
About Author
0 Response to "নভেল করোনা ভাইরাস এড়াতে আমাদের করণীয় কী? আসুন জেনে নিই (২০২০)"
Post a Comment